Sediner Bikelta
সেদিনের বিকেলটা ও ছিল শরৎের
“সেদিনের বিকেলটা ও ছিল শরৎের” মেয়েটার অস্তিত্ব প্রথমে ছিলো খুব দৃঢ়,কিন্তু কোন এক সময় মেয়েটা বাস্তব জগৎ থেকে হারিয়ে যায় কোন এক ঘটনা তাকে হারিয়ে যেতে বাধ্য করে।পরবর্তীতে তার অতৃপ্ত আত্না আত্নচিৎকার করে ফিরে আসতে চায় বাস্তব জগৎে
Buy Amazon Good Products : Here
সেদিনের বিকেলটা ও ছিল শরৎের, কাশফুলের অরণ্যে, শিউলি ফুলের ঘ্রানে, সাদা-নীল উড়ন্ত মেঘের ভাষ্পে, যেদিন আলতো ছুঁয়ে কোন এক অজানা অনুভূতি বলেছিলো ‘পাশে আছি,ওই অন্ধকারে সোডিয়ামের ল্যাম্পোস্টের নিভু নিভু আলোর মত,যে আলো ছেড়ে যেয়েও যায় নাহ’ বেশ অবাক হয়েই চেয়েছিলাম!
আজ পর্যন্ত অনেক শরৎের বিকেল পেরিয়ে গেছে,আজো সেই অনুভূতি খুঁজে ফিরি! যাকে আমি শত তাচ্ছিল্যের হাসিতে উড়িয়ে দিয়েছিলাম,বার-বার তার কন্ঠরুদ্ধ করে বলেছিলাম ‘
এমন ফ্যাকাশে আর ঘোলাটে অনুভূতি গুলো বড্ড অকেজো,এই অনুভূতিগুলো তে ধুলোয় জমাট বেধে গেছে’ অথচ আজ সেই ধুলো পড়া, ফ্যাকাশে,
বিবর্ণ,অর্থহীন ভাবনাগুলো ই আজ আমায় ভাবাচ্ছে! অনুভূতিগুলো কখনো দেখেনি যখন সেগুলো অস্তিত্বে মিশে ঘরকুনো হয়ে কয়েকটি অক্ষর বলেছে -‘ভালোবাসি’ সেদিন ই থেকেই পালিয়ে বেড়িয়েছিলো, আমার বিলীন নিস্তেজ হয়ে যাওয়া ভালোলাগা গুলো..!
কয়েক ফোটা জল গড়িয়ে পড়ে বলেছে-এই অনুভূতি আমার জন্যে না’এতটা পাওয়ার যোগ্য আমি না’ সেই থেকে আর সেই পরাভূত অনুভূতিগুলো ফিরে দেখেনি ধুলো পড়া অনুভূতি গুলোকে..! যদি চোখের জল গড়িয়ে বলে ফেলে- ‘আজ ও ভালোবাসি’ সেই শরৎের বিকেল আজ ও আসে,রোজ আসে বারান্দায়! শিউলি ফুলগুলো এখনো রোজ ফুটে, কিন্তু অনুভূতি গুলো আর সতেজ হয় না,এখনো নিস্তেজ অনুভূতি গুলোর মাঝেমাঝে আত্নচিৎকার শুনতে পাওয়া যায়-সেই কয়েক অক্ষর কে আঁকড়ে ধরে বেঁচে না থাকতে পারার তীব্র ব্যর্থতা,
আকাঙ্ক্ষা আজো তাকে শরেৎের সেই বিকেলের কথা মনে করিয়ে দেয়,আর সে ও বেঁচে থাকে তার নতুন এক শিহরিতে শরৎের বিকেলের অপেক্ষায়!